Sunday, November 1, 2015

`উপজাতি' হিসেবে স্বীকৃতি না পেলে গণহারে আত্মাহুতির হুমকি


পার্বত্যনিউজ ডেস্ক : তফশিলি `উপজাতি' স্বীকৃতি ও পৃথক কামতাপুর (কামতাপুরি ভাষাভাষী অধ্যুষিত উত্তর-পূর্ব ভারতের উত্তরবঙ্গ, অসম ও বিহারের কিছু অংশ নিয়ে) রাজ্যের দাবিতে গত ৩১ অক্টোবর শনিবার গোটা কোকরাঝাড় উত্তাল করে তুলে সারা কোচ রাজবংশী ছাত্র সংস্থার (আক্রাসু) হিতেশ্বর বর্মন জনগোষ্ঠী। খবর, দৈনিক যুগশঙ্খের।


হাতে হাতে ব্যানার, ফেস্টুন, প্লে-কার্ড নিয়ে ‘আহ ওই ওলাই আহ’, ‘নো কামতাপুর, নো রেস্ট’, ‘রক্ত দেব, কামতাপুর দেব না’, ‘কোচ রাজবংশীদের উপজাতি স্বীকৃতি দিতেই হবে’- প্রভৃতি শ্লোগানে বিটিএডি সদর কোকরাঝাড় শহরকে উত্তাল করে তোলেন কয়েক হাজার আক্রাসু কর্মী-সমর্থক। শহরের রাসমেলা ময়দান থেকে বেরিয়ে জেলাপ্রশাসক কার্যালয়, শান্তিনগর, বিবেকানন্দ পথ হয়ে ফের রাসমেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে আসে তাদের মশাল মিছিল।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় আক্রাসু সভাপতি হিতেশ্বর বর্মন বলেন, ‘২০১৬ সালের মধ্যে আমাদের উপজাতি স্বীকৃতি না দিলে গণহারে আত্মাহুতি দিতে বাধ্য হব আমরা। কংগ্রেসের মতো বিজেপিও এবার প্রতারণা শুরু করেছে। সাধারণ নির্বাচনের আগে মুখ ভরে প্রতিশ্রুতি দিলেও এখন আমাদের দাবি নিয়ে কোনও কথাই বলছে না। শেষবারের আলোচনায় সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিষয়টি উত্থাপন হবে বলে আশ্বাস দিলেও রহস্যজনকভাবে এখন অবধি এই নিয়ে আর কোনও কথা বলেনি বিজেপি। এই প্রতারণা আমরা কোনভাবেই মেনে নেব না। কোচ রাজবংশীদের শীঘ্রই উপজাতি স্বীকৃতি দিতে হবে। ২০১৬ সালের মধ্যে প্রাপ্য মর্যাদা না পেলে গণহারে আত্মাহুতি দিতে বাধ্য হব আমরা।’
আগামী ১৮ নভেম্বর বিশাল গণসমাবেশেরও ডাক দিয়েছে আক্রাসুর হিতেশ্বর বর্মন জনগোষ্ঠী। আক্রাসু সভাপতি হুমকি দিয়ে বলেন, ‘শীঘ্রই আমাদের দাবি পূরণ না হলে আন্দোলন করে গণহারে মৃত্যুকে জড়িয়ে ধরতে বাধ্য হব আমরা।’

No comments:

Post a Comment