Sunday, November 29, 2015

শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নের দায় কি সরকারের একার?


আফরিনা হক::

পাবর্ত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈ সিং বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির ৭২টি ধারার মধ্যে ৪৮টি ধারা ইতোমধ্যে সম্পূর্ণ বাস্তবায়িত হয়েছে। তিনি সংসদে সরকারি দলের সদস্য আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইনের এক প্রশ্নের জবাবে আরো বলেন, শান্তি চুক্তির ৭২টি ধারার মধ্যে ১৫টি ধারা আংশিক বাস্তবায়িত হয়েছে এবং ৯টি ধারার বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার গঠিত পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক জাতীয় কমিটির সাথে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর এই চুক্তি স্বারিত হয়। চুক্তিটি ৪টি খণ্ডে বিভক্ত ‘ক’ খন্ডে ৪টি, ‘খ’ খন্ডে

কি ঘটবে পার্বত্য ভূমি কমিশন আইন সংশোধন প্রস্তাব কার্যকর হলে?



সৈয়দ ইবনে রহমত ::
ভূমি মন্ত্রণালয়ের প্রবল বিরোধীতা সত্বেও গত ২৭ মে, ২০১৩ কেবিনেটে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের এক মিটিংয়ে ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমিবিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন ২০০১’-এর ৬টি ধারা সংশোধনের খসড়া নীতিগতভাবে অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা। ফলে ভূমির মালিকানা হারিয়ে উদ্বাস্তু হতে যাচ্ছে পার্বত্যাঞ্চলে বসবাসরত বাঙালি লাখ লাখ পরিবার। কেননা পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে বাঙালিদের উচ্ছেদ করার পরিকল্পনারই অংশ হিসেবেই পার্বত্য ভূমি কমিশন আইনের এ সংশোধনী আদায় করেছে জেএসএস। এই সংশোধনী কার্যকর হলে পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত বাঙালিদের জীবনে যে ভয়াবহ পরিস্থিতি

পার্বত্য চুক্তিতে জাতিগত বৈষম্যসমূহ


সৈয়দ ইবনে রহমত ::
দীর্ঘ প্রায় তিন দশকের বিচ্ছিন্নতাবাদি রক্তক্ষয়ী আন্দোলন দমানোর লক্ষ্যে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে। এ চুক্তিটিকে এর দু’পক্ষ তথা জনসংহতি সমিতি এবং আওয়ামী লীগ সরকার শান্তিচুক্তি হিসেবে আখ্যায়িত করে জোর প্রচার চালায়। তাদের এই প্রচারে যুক্ত হয় তাদেরই অনুগত এবং সহমত পোষণকারী কতিপয় ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাজনৈতিক দল। অন্যদিকে তৎকালীন বিরোধী দল বিএনপি (যদিও পরে ক্ষমতায় এসে তাদের অবস্থান পরিবর্তন করে) এবং সমমনা রাজনৈতিক দল, পার্বত্যবাসী বাঙালিসহ সারা দেশের সাধারণ জনগণ এই পার্বত্য চুক্তিকে ঘৃণা ভরে প্রত্যাখ্যান করে কালো চুক্তি হিসেবে আখ্যায়িত করে।

রাঙ্গামাটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় চাই সরকারের আন্তরিকতা

সৈয়দ ইবনে রহমত : 
রাঙ্গামাটিতে একটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করার পদক্ষেপ নিয়ে সরকার তা দশ বছরেও বাস্তবায়ন করতে পারছে না। এটা খুবই দুঃখজনক। আরো অবাক করার বিষয় হচ্ছে যে কিছু পাহাড়ি নেতার বিরোধীতার কারণে বারবার আটকে যাচ্ছে এ প্রকল্পের কাজ। শুধু রাঙ্গামাটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রেই যে বাধা আসছে তাই নয়, এ অঞ্চলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপনে পাহাড়ি নেতাদের বাধা দেয়াটা বৃটিশ আমল থেকেই রেওয়াজে পরিণত হয়েছে। বিষয়টি সহজে অনুধাবনের জন্য কিছু বিষয় আলোকপাত করা প্রয়োজন।

পার্বত্য চুক্তির ১৮ বছর পূর্তি উপলক্ষে পার্বত্য জনসংহতি সমিতির মূল্যায়ন






পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির ১৮তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নের উপর পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সংবাদ সম্মেলন



প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির ১৮তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা গ্রহণ করুন।

আপনারা জানেন যে, বাংলাদেশ সরকার ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির মধ্যে ২ ডিসেম্বর ১৯৯৭ তারিখে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি স্বাক্ষরের পর দীর্ঘ ১৮ বছর অতিক্রান্ত হতে চলছে। সরকার দাবি করছে যে, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির ৭২টি ধারার মধ্যে ৪৮টি ধারা ইতিমধ্যে বাস্তবায়িত হয়েছে। বস্তুত ৭২টি ধারার মধ্যে মাত্র

Saturday, November 14, 2015

অনুপ চেটিয়াকে ছাড়া শান্তি আলোচনায় আগ্রহী নয় উলফা




 
অনুপ চেটিয়াআসামের জঙ্গি সংগঠন উলফার সঙ্গে কেন্দ্রের শান্তি আলোচনা ঘিরে সংশয় দেখা দিয়েছে। সংগঠনের নেতারা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানাবেন, গোলাপ বড়ুয়া ওরফে অনুপ চেটিয়াকে ছাড়া তাঁরা শান্তি আলোচনায় যোগ দিতে আগ্রহী নন। শীর্ষস্থানীয় উলফা নেতা শশধর চৌধুরী গতকাল শুক্রবার প্রথম আলোকে এ কথা জানান। চলতি মাসের ২৪ তারিখে দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং ও স্বরাষ্ট্রসচিব রাজীব মহর্ষির সঙ্গে উলফা নেতাদের সপ্তম দফার বৈঠক হওয়ার কথা।

Friday, November 13, 2015

উত্তর-পূর্বাঞ্চলের শান্তি প্রক্রিয়া গতি পাবে



ভিকি নানজাপ্পা
ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব আসাম তথা উলফা নেতা অনুপ চেটিয়াকে নিজেদের হাতে পাওয়ার মধ্য দিয়ে ভারতের জন্য একটি বড় কূটনৈতিক বিজয় অর্জিত হয়েছে। অনুপ চেটিয়া ওরফে গোলাপ বড়ূয়া এর আগে ১৭ বছর বাংলাদেশে কারাবন্দি জীবন কাটিয়েছেন এবং শেষ দিকে তিনি সেখানে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করেছিলেন। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারের

Friday, November 6, 2015

বিরতিহীন অনশনের পনের বছর


AFSPA- Armed Forces Special Powers Act-1958 (সেনা বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৫৮)।

Thursday, November 5, 2015

গারো পাহাড়ে সেনা বাহিনীকে বিশেষ ক্ষমতা দিচ্ছে ভারত সরকার




Meghalaya
মেঘালয়ের গারো পাহাড়ে AFSPA- Armed Forces Special Powers Act-1958 (সেনা বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৫৮) প্রয়োগের সুপারিশ নিয়ে বিবেচনা করছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়। বিশেষ করে সেখানে আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় শীঘ্রই কঠোর আইন প্রয়োগ করতে পারে। খবর : দৈনিক যুগশঙ্খ।

Sunday, November 1, 2015

`উপজাতি' হিসেবে স্বীকৃতি না পেলে গণহারে আত্মাহুতির হুমকি


পার্বত্যনিউজ ডেস্ক : তফশিলি `উপজাতি' স্বীকৃতি ও পৃথক কামতাপুর (কামতাপুরি ভাষাভাষী অধ্যুষিত উত্তর-পূর্ব ভারতের উত্তরবঙ্গ, অসম ও বিহারের কিছু অংশ নিয়ে) রাজ্যের দাবিতে গত ৩১ অক্টোবর শনিবার গোটা কোকরাঝাড় উত্তাল করে তুলে সারা কোচ রাজবংশী ছাত্র সংস্থার (আক্রাসু) হিতেশ্বর বর্মন জনগোষ্ঠী। খবর, দৈনিক যুগশঙ্খের।