Tuesday, October 24, 2017

রোহিঙ্গাবিহীন রাখাইন এবং বাঙালিবিহীন পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে একটি ভয়ঙ্কর খেলা

সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, বীর প্রতীক
রোহিঙ্গা সমস্যার যে আঙ্গিকগুলো নিয়ে আলোচনা হচ্ছে এবং ভবিষ্যতে হওয়ার সম্ভাবনা বেশি, সেগুলো হলো- এক. রোহিঙ্গাদের মানবিক দৃষ্টিভঙ্গিতে আশ্রয় দেয়া; দুই. আশ্রয় দেয়া রোহিঙ্গাদের মধ্যে ত্রাণতৎপরতায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা; তিন. মিয়ানমারের অমানবিক হিংস্র কর্মকাণ্ড তথা মানবতাবিরোধী অপরাধগুলোর প্রতিবাদ করা; চার. নিজস্ব তৎপরতা ও আন্তর্জাতিক চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে, রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে সসম্মানে ফেরত পাঠানো, পাঁচ. বাংলাদেশের কূটনীতির অনানুষ্ঠানিক সমীক্ষা তথা ব্যর্থতার কারণগুলো অনুসন্ধান করা, ছয়. ভারত নামের বহুলঘোষিত বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্রের ভূ-কৌশলগত অবন্ধুপ্রতিম কূটনৈতিক অবস্থানের সমালোচনা, সাত.

Monday, January 9, 2017

পার্বত্য চট্টগ্রাম তুমি কার?

জি. মুনীর

পার্বত্য চট্টগ্রাম। দেশের মোট ভূখণ্ডের এক-দশমাংশ এই পার্বত্য চট্টগ্রাম। তিন পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি ও বান্দরবান নিয়ে গঠিত পার্বত্য এলাকা। এ তিন জেলায় ১৬ লাখ লোকের বসবাস। এদের ৫১ শতাংশ পাহাড়ি বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও ৪৯ শতাংশ বাঙালি জনগোষ্ঠীর বসবাস এই পার্বত্য চট্টগ্রামে। বরাবরের অশান্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম।
একপর্যায়ে এই অশান্ত পার্বত্য জনপদে শান্তি ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের সাথে পাহাড়িদের শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি’ নামে এই চুক্তি সমধিক পরিচিত। এই চুক্তিতে পাহাড়ি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর পক্ষে স্বাক্ষর করেন প্রাকৃতিক সম্পদসমৃদ্ধ এই পার্বত্য এলাকার স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে বহু বছর ধরে ভারতের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে সশস্ত্র আন্দোলন করে আসা জেএসএস তথা জনসংহতি সমিতির নেতা সন্তু লারমা। এ শান্তিচুক্তির ৭২টি দফার

Thursday, January 5, 2017

নিজেদের জমিতে যেতে পারছেন না পার্বত্য বাঙালিরা

কাওসার আজম, পার্বত্যাঞ্চল থেকে ফিরে :

পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির মহালছড়ি উপজেলার চেংড়াছড়ি গুচ্ছগ্রাম। পাহাড়ঘেরা ওই গুচ্ছগ্রামে বর্তমানে বসবাস প্রায় ৪শ’ বাঙালি পরিবারের। সেখানে গিয়ে কথা হয় ৮০ ঊর্ধ্ব গুলিজান বেগমের সঙ্গে। কানে কম শোনেন, চোখেও কম দেখেন। বয়সের ভারে নুয়ে পড়া গুলিজানের স্বামী আফসার আলী মারা গেছেন কবে তাও ঠিক করে বলতে পারেননি তিনি। ৩ ছেলেকে নিয়ে থাকেন চেংড়াছড়ির গুচ্ছগ্রামে।
দীর্ঘ আলাপচারিতায় এই বৃদ্ধা জানান, রংপুরে নদী ভাঙনের শিকার হলে এরশাদ সরকার অন্য পরিবারগুলোর মতো অসহায় এই পরিবারকেও ১৯৮২ সালে

Tuesday, January 3, 2017

সুপার জ্যোতি চাকমার আটক এবং কিছু কথা



রতন বড়ুয়া : 
পার্বত্য চট্টগ্রামে নতুন ফ্যাশন চালু হয়েছে। অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী গ্রেফতার হওয়ার পরও তার পক্ষে মিছিল, মিটিং, সভা সমাবেশ করে তাকে নির্দোষ দাবী করা। এটুকু হলেও কিছুটা মনের বুঝ দেয়া যেতো কিন্তু উলটো তারা নিরাপত্তাবাহিনীর ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে দিচ্ছে। বলা হচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনীরা নাকি তাদের হাতে অস্ত্র ধরিয়ে দিয়ে মিথ্যা নাটক সাজিয়ে গ্রেফতার করছে। ভালো তো- ভালো না?

নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদেরকে বলছি-

Thursday, June 9, 2016

পার্বত্য চুক্তিতে জাতিগত বৈষম্যসমূহ



সৈয়দ ইবনে রহমত ::


দীর্ঘ প্রায় তিন দশকের বিচ্ছিন্নতাবাদি রক্তক্ষয়ী আন্দোলন দমানোর লক্ষ্যে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে। এ চুক্তিটিকে এর দু’পক্ষ তথা জনসংহতি সমিতি এবং আওয়ামী লীগ সরকার শান্তিচুক্তি হিসেবে আখ্যায়িত করে জোর প্রচার চালায়। তাদের এই প্রচারে যুক্ত হয় তাদেরই অনুগত এবং সহমত পোষণকারী কতিপয় ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাজনৈতিক দল। অন্যদিকে তৎকালীন বিরোধী দল বিএনপি (যদিও পরে ক্ষমতায় এসে তাদের অবস্থান পরিবর্তন করে) এবং সমমনা রাজনৈতিক দল, পার্বত্যবাসী বাঙালিসহ সারা দেশের সাধারণ জনগণ এই পার্বত্য চুক্তিকে ঘৃণা ভরে প্রত্যাখ্যান করে কালো চুক্তি হিসেবে আখ্যায়িত করে।

Monday, May 30, 2016

ভূষণছড়া গণহত্যা পার্বত্য চট্টগ্রামের বৃহত্তম হত্যাকাণ্ড

সৈয়দ ইবনে রহমত ::

৩১ মে, ভূষণছড়া গণহত্যা দিবস। পার্বত্য চট্টগ্রামে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বৃহৎ এবং  ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডটি হচ্ছে ভূষণছড়া গণহত্যা। ১৯৮৪ সালের এই দিনে রাঙামাটি জেলার বরকল উপজেলার
ভূষণছড়া ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকার বাঙ্গালীরা এই নির্মম গণহত্যার শিকার হন। পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) -এর অঙ্গ সংগঠন শান্তিবাহিনীর হাতে অসংখ্যবার পার্বত্য চট্টগ্রামের বাঙালিরা গণহত্যার শিকার হয়েছে।

মায়ানমারে ঢুকে দুর্ভেদ্য জঙ্গি ঘাঁটিতে হামলা ভারতের, হত অন্তত ৮


জঙ্গি ঘাঁটি ভাঙতে মায়ানমারে ঢুকে পড়ল ভারতীয় বাহিনী। গভীর জঙ্গলে ভারতের এই দুঃসাহসিক অভিযানে অন্তত ৮ জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে বলে সেনা সূত্রের খবর। আরও ১৮ জন জঙ্গিকে গ্রেফতার করে মায়ানমার সরকারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনে তাদের ভারতে আনা হবে।